ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাক্রমের ২য়, ৪র্থ, ৬ষ্ঠ ও ৮ম পর্ব সমাপনী পরীক্ষা আগামী ১ ডিসেম্বর হতে শুরু হবে।

Computer Science & Technology

  • Course Feature

  • Duration: 4 Years

  • Language: English

Computer Science & Technology

ডিপ্লোমা ইন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং ভূমিকা গুরুত্ব:

ডিপ্লোমা ইন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং আধুনিক প্রযুক্তি তথ্য প্রযুক্তির দ্রুত পরিবর্তনশীল দুনিয়ায় একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রোগ্রাম। এটি শিক্ষার্থীদের আধুনিক কম্পিউটার সিস্টেম, সফটওয়্যার, নেটওয়ার্কিং, সাইবার সিকিউরিটি এবং অন্যান্য প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রের সাথে পরিচিত করিয়ে দেয়, যা তাদের চাকরি এবং পেশাগত জীবনে সফল হতে সাহায্য করে। প্রযুক্তির অগ্রগতির সাথে সঙ্গতি রেখে, এই প্রোগ্রাম বৈশ্বিক বাজারে উচ্চ চাহিদাসম্পন্ন দক্ষ পেশাদার তৈরি করে, যা বিভিন্ন প্রযুক্তিগত সেক্টরে সুযোগ সৃষ্টি করে। এছাড়াও, এটি নতুন উদ্ভাবন এবং সৃজনশীলতা উদ্দীপিত করে, যা দেশের প্রযুক্তি উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

ডিপ্লোমা ইন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রামের উদ্দেশ্য:

ডিপ্লোমা ইন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রামের মূল উদ্দেশ্য হলো শিক্ষার্থীদের আধুনিক কম্পিউটার প্রযুক্তি এবং ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে প্রয়োজনীয় জ্ঞান এবং দক্ষতা প্রদান করা। এটি শিক্ষার্থীদেরকে কম্পিউটার সিস্টেম ডিজাইন, ডেভেলপমেন্ট, রক্ষণাবেক্ষণ এবং পরিচালনা সম্পর্কিত ব্যাপক প্রযুক্তিগত ধারণা প্রদান করে। প্রোগ্রামটি শিক্ষার্থীদের কম্পিউটার হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার, নেটওয়ার্কিং, সাইবার সিকিউরিটি এবং ডেটাবেস ম্যানেজমেন্টে দক্ষ করে তোলে, যার মাধ্যমে তারা আইটি খাতে উন্নত ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে সক্ষম হয়।
এছাড়াও, প্রোগ্রামটি তাদেরকে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানে দক্ষ করে তোলে, যা তাদেরকে আধুনিক প্রযুক্তির চাহিদা মেটাতে প্রস্তুত করে।

ডিপ্লোমা ইন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং  সিলেবাস বা পাঠক্রম :
 
ডিপ্লোমা ইন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রামের বছরের সিলেবাস বা পাঠক্রমটি কম্পিউটার সিস্টেম, সফটওয়্যার, হার্ডওয়্যার, নেটওয়ার্কিং, এবং সাইবার সিকিউরিটি সম্পর্কিত মৌলিক থেকে উন্নত বিষয়বস্তু নিয়ে তৈরি।
 
প্রথম বছরে, শিক্ষার্থীরা কম্পিউটার প্রোগ্রামিং, গণিত, এবং ইলেকট্রনিক্সের মৌলিক ধারণা শেখেন।
 
দ্বিতীয় বছরে, তারা ডেটাবেস ম্যানেজমেন্ট, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং, ডাটা স্ট্রাকচার এবং নেটওয়ার্কিংয়ের উপর গভীর জ্ঞান অর্জন করেন।
তৃতীয় বছরে, অপারেটিং সিস্টেম, মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট, এবং সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে কাজ শুরু করেন।
 
চতুর্থ বছরে, তারা বিশেষায়িত প্রযুক্তি যেমন বড় ডেটা, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, এবং প্রকল্প ভিত্তিক কাজের মাধ্যমে তাদের দক্ষতা উন্নত করেন।
 
এছাড়া, ইন্ডাস্ট্রি ট্রেনিং এবং বাস্তব প্রকল্পে অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। এই পাঠক্রমটি শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তির বিভিন্ন দিকের জন্য দক্ষ এবং প্রস্তুত করে তোলে।

ক্যারিয়ার সম্ভাবনা চাকরির ক্ষেত্র:

ডিপ্লোমা ইন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রামের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা উভয় প্রাইভেট সেক্টর এবং সরকারি সেক্টরে চাকরি পাওয়ার সুযোগ পেয়ে থাকেন। এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তিগত চাকরির সুযোগ তৈরি হয়, যা তাদের ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে সহায়ক।
 
প্রাইভেট জব:
  • সফটওয়্যার ডেভেলপার
  •   ওয়েব ডেভেলপার
  • নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার
  • ডেটাবেস অ্যাডমিনিস্ট্রেটর
  • সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞ
  •  মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপার
  •   ফ্রিল্যান্সিং
 
সরকারি জব
  •        বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (BCC)
  •       পোস্টাল ডিপার্টমেন্ট টেলিযোগাযোগ বিভাগ
  •       পুলিশ সাইবার ক্রাইম বিভাগ
  •        প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (PMO)
  •        ইলেকট্রনিক্স এবং ইনফরমেশন টেকনোলজি বিভাগ
  •        সরকারি ব্যাঙ্ক অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠান
ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং-এর উচ্চ শিক্ষা সুযোগ:

ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পন্ন করার পর শিক্ষার্থীদের জন্য উচ্চ শিক্ষার বেশ কিছু সুযোগ রয়েছে। তারা বিভিন্ন উচ্চতর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং প্রোগ্রামে ভর্তি হতে পারেন, যা তাদের প্রযুক্তিগত জ্ঞান দক্ষতা আরো গভীর করতে সহায়ক।
  •    বিএসসি ইন ইঞ্জিনিয়ারিং (B.Sc. in Engineering)
  •    পোস্ট ডিপ্লোমা প্রোগ্রাম (Post Diploma Program)
  •     মাস্টার্স ইন টেকনোলজি (M.Sc. in Technology)
  •    প্রফেশনাল সার্টিফিকেশন কোর্স
  •     ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অথবা অনলাইন কোর্স
  •    সরকারি এবং বেসরকারি স্কলারশিপ

আবেদনকারী যোগ্যতা:
  •  এসএসসি/ সমমান যেকোন বিভাগ হতে উত্তীর্ণ

  •   সর্বনিম্ন জি.পি.এ ২.০০
 সুযোগ-সুবিধা:

  •   মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য টিউশন ফি ছাড় (Waiver) এর ব্যবস্থা
  •  (জিপিএ .৫০-.৭৫ পর্যন্ত ২৫% এবং জিপিএ .৭৬ এর ঊর্ধ্বে ৫০%)
  •  মেয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য টিউশন ফিতে বিশেষ ছাড়
  •  স্বনামধন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং যোগ্যতা অনুযায়ী চাকুরির সুযোগ
  •  দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য সরকারি STEP প্রকল্প থেকে উপবৃত্তি পাওয়ার সুযোগ (শর্ত সাপেক্ষে)
  •  প্রতি সেমিস্টারে ৪০০০/- টাকা করে মোট ৩২,০০০/- টাকা সরকারি উপ-বৃত্তি পাওয়ার ব্যবস্থা (শর্ত সাপেক্ষে)
  •   মেয়েদের জন্য নিরিবিলি পরিবেশে মট্স হোস্টেলে স্বল্প খরচে থাকা খাওয়ার সুব্যবস্থা
  • পর্যাপ্ত সংখ্যক ল্যাব এবং শতভাগ ব্যবহারিক ক্লাস নিশ্চিত করা হয়