BEIOA-SICIP প্রকল্পের আওতায় ৪ মাস মেয়াদি কারিগরি প্রশিক্ষণ কোর্সে ভর্তি চলছে।

Event & News

কারিতাস দিবস উদযাপন ও লং সার্ভিস এওয়ার্ড বিতরণ।

৬ এপ্রিল ২০২৫ খ্রিস্টাব্দে কারিতাস ঢাকা অঞ্চল, মিরপুর এগ্রিকালচারাল ওয়ার্কশপ এন্ড ট্রেনিং স্কুল (মট্স), সি.এইচ.এন.এফ.পি, কোর দি জুট ওয়ার্কস এবং মাদার তেরেজা কাথলিক স্কুল সংশ্লিষ্ট সকলের অংশগ্রহণে কারিতাস দিবস উদযাপন ও লং সার্ভিস এওয়ার্ড বিতরণ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয় মট্স এর মিলনায়তনে। প্রতি বছর ত্যাগ ও সেবা অভিযান চলাকালীন সময়ে কারিতাসের আওতাভুক্ত সকল প্রতিষ্ঠানে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। তারই প্রেক্ষিতে ত্যাগ ও সেবা অভিযান ২০২৫ যথাযথভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এবং কর্মীদের অনুপ্রাণিত করতে মিরপুর কমপ্লেক্স কমিটির যৌথ উদ্যোগে উক্ত অনুষ্ঠানটি বাস্তবায়িত হয়। ত্যাগ ও সেবা অভিযান ২০২৫ এর মূলসুর “এসো, বিশ্বাস ও আশায় একসাথে যাত্রা করি”। উক্ত অনুষ্ঠানটি ৩টি পর্বে সাজানো হয়েছে। ১ম পর্বে ছিল বিভিন্ন ধর্মের আলোকে ত্যাগ ও সেবা বিষয়ক সহভাগিতা এবং মূলসুরের উপর আলোচনা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরম শ্রদ্ধেয় বিশপ সুব্রত বি. গমেজ, সহকারী বিশপ, ঢাকা মহাধর্মপ্রদেশ। তিনি মূলসুরের উপর আলোকপাত করে বলেন আমরা প্রত্যেকে যেন অন্যকে নিজের ভাই হিসেবে ভালবাসতে পারি এবং আমাদের নিজ নিজ দায়িত্ব সততা ও নিষ্ঠার সাথে পালন করতে পারি। সনাতন ধর্মের আলোকে ত্যাগ ও সেবা বিষয়ক সহভাগিতা করেন ড. প্রশান্ত কুমার ব্যানার্জি, অধ্যাপক, বি আই বি এম। মানুষের কর্মের মাধ্যমে ত্যাগ ও সেবার অনুশীলন করে জীবনকে উন্নত করার বিষয়ে তিনি সহভাগিতা করেন। বৌদ্ধ ধর্মের আলোকে ত্যাগ ও সেবা বিষয়ক সহভাগিতা করেন অধ্যাপক ড. জিনোবোধি ভিক্ষু, প্রাচ্য ভাষা বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। তিনি সকলকে মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন মানুষ হয়ে ঈশ^রের সৃষ্ট জীবের কল্যাণে নিজেদেরকে নিয়োজিত করার কথা বলেন। ইসলাম ধর্মের আলোকে ত্যাগ ও সেবা বিষয়ক সহভাগিতা করেন মো: মোস্তফা মঞ্জুর, সহকারী অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। তিনি মানবতার অনুশীলন ও ত্যাগের বিষয়ে সকলকে অনুপ্রাণিত করেন। খ্রিস্ট ধর্মের আলোকে ত্যাগ ও সেবা বিষয়ক সহভাগিতা করেন ড. ফাদার লিন্টু ফ্রান্সিস ডি’কস্তা, পরিচালক, সেন্ট জন ভিয়ানী হাসপাতাল, ঢাকা। তিনি পবিত্র বাইবেলের আলোকে সহভাগিতা করে বলেন, আমরা যেন অন্যকে বন্ধুর মতো ভালবাসি এবং নিজ নিজ কর্ম দ্বারা নিজেদেরকে তুলে ধরতে পারি। মট্স পরিচালক মি. জেমস্ গোমেজ ত্যাগ ও সেবা অভিযানের প্রকাশিত শিক্ষা উপকরণ ও অর্থ ব্যবহারের বিষয়ে সহভাগিতা করেন। আলোচনা অনুষ্ঠানে মূলসুরের আলোকে গীতি নৃত্যনাট্য পরিবেশন করেন মট্স এর কর্মী ভাই বোনেরা।
অনুষ্ঠানের ২য় পর্বে ছিল কারিতাস লং সার্ভিস এওয়ার্ড বিতরণ। এ বিষয়ে সহভাগিতা করেন মিজ্ মাগ্রেট জ্যোৎস্না গমেজ, ঊর্ধ্বতন কর্মসূচি কর্মকর্তা (স্বাস্থ্য), সিএইএনএফপি। কারিতাসের এই উদ্যোগের প্রতি তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন কারণ প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন ধরে সেবা দানের জন্য পুরস্কার স্বরূপ এই লং সার্ভিস এওয়ার্ড কর্মীদের স্পৃহাকে আরও বাড়িয়ে দেয়। বিভিন্ন মেয়াদে (১০ বছর, ১৫ বছর, ২০ বছর এবং ২৫ বছর) সর্বমোট ৩৭ জন কর্মী লং সার্ভিস এওয়ার্ড গ্রহণ করেন। এওয়ার্ড প্রাপ্তির পর অনুভূতি প্রকাশ করেন মো: সাখাওয়াত হোসেন, মাঠ কর্মকর্তা, উদ্যম, মিজ শিলা রানী মন্ডল, ক্রেডিট অফিসার, মি. অসীম ক্রুশ, কর্মসূচি কর্মকর্তা, ঢাকা অঞ্চল, মি. মার্টিন রোনাল্ড প্রামানিক, ঊর্ধ্বতন ব্যবস্থাপক (উৎপাদন), মট্স। অনুষ্ঠান শেষে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সৌরভ রোজারিও, আঞ্চলিক পরিচালক, কারিতাস ঢাকা অঞ্চল। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার জন্য তিনি সকলকে ধন্যবাদ জানান এবং চার ধর্মের আলোকে ও মূলসুরের আলোকে আলোচিত সহভাগিতা আমাদের কাজের উদ্দীপনা আরও বাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলেন।
৩য় পর্বে খ্রিস্টধর্মাবলম্বী সকলের জন্য রবিবাসরীয় খ্রিস্টযাগ উৎসর্গ করেন পরম শ্রদ্ধেয় বিশপ সুব্রত বি. গমেজ, সহকারী বিশপ, ঢাকা মহাধর্মপ্রদেশ এবং ড. ফাদার লিন্টু ফ্রান্সিস ডি’কস্তা। খ্রিস্টযাগে মট্স এর আবাসিক শিক্ষার্থীরাও অংশগ্রহণ করে।

গীতি নৃত্যনাট্য:“আশার প্রদীপ” https://youtu.be/KbqxqLbWMpw